সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় জমি দখল করে রাতের আঁধারে ছাপরা ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের জয়কাইল গ্রামে কাইয়ুম মোল্যা নামে এক ব্যাক্তির পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে ছাপরা ঘর নির্মাণ করেন ইউনুছ খা নামে এক প্রতিবেশি। কাইয়ুম মোল্যা ও ইউনুছ খান সম্পর্কে মামাতো- ফুফাতো ভাই। জানা যায়, জয়কাইল গ্রামের মৃত মোঃ আলেপ মোল্যার ছেলে কাইয়ুম মোল্যা জয়কাইল মৌজার ১৯০ নং খতিয়ানের ৪০১৮ দাগের ১৫ শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ দখলে আছেন। এরমধ্যে ১৩ শতক জমিতে বসবাস করেন, আর ২ শতক জমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য রাস্তা হিসেবে রেখেছেন। এদিকে তার ফুফুর অংশ হিসেবে ফুফাতো ভাই ইউনুছ ও তার ৬ ভাই-বোন মিলে বাড়ির পাশে ২৩ শতক জমি ভোগ দখল করে আছে। এরমধ্যে ইউনুছ খান ৮শতক জমির দাবীদার। বাকি ১৫ শতক অন্যান্য ভাই- বোনেরা খাচ্ছে। কিন্তু ইউনুছ বাদী হয়ে উল্টো কাইয়ুম মোল্যার বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের অভিযোগে গত ১৪/১২/২০২৪ ইং বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা করে। ৩০/০৪/২০২৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত কাইয়ুম মোল্যাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর মঙ্গলবার (২০ মে) ভোররাতে কাইয়ুম মোল্যার জমি দখল করে ছাপরা ঘর নির্মান করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয় ইউনুছ খান ও তার ছেলে তুহিন খান। এবিষয় নিয়ে ইউনুছ খানের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন কাইয়ুম মোল্যা। কাইয়ুম মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা মামলা করার পর আদালত আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। হঠাৎ করে রাতের আঁধারে আমার জমি দখল করে ছাপরা ঘর নির্মান করেছে ইউনুছ খা ও তার ছেলে। এবিষয়ে আমি থানায় একটি অভিযোগ করেছি। ইউনুছ খানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৪/৫ বছর ধরে জমি নিয়ে ঝাশেলা চলছে। আমরা রাতে বেলায় ছাপরা উঠাইনি। দিনের বেলায় আমাদের জায়গায় ছাপরা উঠাইছি। কাগজপাতি দেখলে বুঝা যাবে কার জায়গা এটা। ওদের জায়গা হলে আমরা ছেড়ে দিবো। আর আমাদের জায়গা হলে ওরা ছেড়ে দিবে। অহেতুক আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলছে কাইয়ুম।
সালথার থানার এএসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, কাইযুম মোল্যার অভিযোগের ভিত্তিতে আজকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম একটি ছাপরা ঘর তুলেছে ইউনুছ খান। এর আগে এবিষয়ে ইউনুছ খান বাদি হয়ে কাইয়ুম মোল্যা বিরুদ্ধে আদালতে একটি ১৪৪ মামলা করে। মামলাটি আদালত খারিজ করে দেয়। এবিষয়ে তাদেরকে আদালতের শরনাপন্ন হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।