মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে সীমান্তে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদসহ মালামাল উদ্ধার করা হলেও পাচারকারী চক্র থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। ঝিনাইগাতী সীমান্তে আজ মঙ্গলবার ভোরেও আবারো বিভিন্ন ব্যান্ডের ৫৭০ বোতল মদ থানা পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও চোরাচালানী বা পাচারকারীকেই আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বড় গজনী এলাকায় ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো: আল-আমীনের এক সাহসী অভিযানে এসব মদ উদ্ধার করা হয়।
তবে মাদক চোরাকারবারীদের কাউকেই আটক করা যায়নি। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বড় গজনী এলাকার সোলার ফ্যান্সিং কন্ট্রোল রুমের পাশে সুবিনাথ সাংমার বাড়ির নিকটে মদ পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ৭ ব্র্যাণ্ডের ৫৭০ বোতল মদ জব্দ করা হয়।
এবার ও অভিযান পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীরা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল-আমীন জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে. শেরপুর জেলার সীমন্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলাতে পৃথক অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৪৯৭ পিস মদসহ দুটি গরু জব্দ করে তাওয়াকুচা বিওপি। গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার ছোট গজনী এলাকা থেকে মদ এবং খাড়ামুড়া এলাকা থেকে ২টি ভারতীয় গাভী উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এই অভিযানেও কোন পাচারকরীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সানবীর হাসান মজুমদার জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে তাওয়াকুচা বিওপি’র ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির ২টি টহলদল পৃথক অভিযান চালিয়ে ছোট গজনী এলাকা থেকে ভারতীয় ৪৯৭ পিস মদ এবং খাড়ামুড়া এলাকা থেকে ২টি গরু জব্দ করে।
এসময়ও বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ও গরু চোরাকারবারি পালিয়ে যায়। জব্দকৃত মদের বাজার মুল্য আনুমানিক ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২টি গরুর মুল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। লক্ষ্যণীয় যে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক হয় বটে। কিন্তু চোরাকারবারীরা থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে। ক্ষেত্র বিশেষ ধরা পড়লেও তারা বাহক। মূল চোরাকারবারী নয়। ফলে বন্ধ হচ্ছেনা শেরপুর সীমান্তে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান!