মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার ঝিনাইগাতীতে হৃষ্টপুষ্টকরনকৃত গবাদি পশুর সংখ্যা ১১ হাজার ৮৩৩ ও কোরবানির পশুর চাহিদা ১১ হাজার ৫৭০ উদ্বৃত-২৬৩ টি। এছাড়াও চাহিদার সঙ্গে খামারে কমেছে কোরবানির পশুর যোগানও।এক মাসের কম সময় বাকি পবিত্র ঈদুল আজহার।
এ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে পশু কেনা-বেচা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঝিনাইগাতীর ক্রেতা ও ব্যাপারীরা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে পশু পরিচর্যা ও বাজার ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি, পশু খাদ্যের দামের প্রভাব পড়বে কোরবানির বাজারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। এবার উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১১ হাজার ৫৭০টি। ঝিনাইগাতীর উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের খামারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জনাব মো:মনিরুজ্জামান (মানিক) বলেন, কোরবানির শেষ সময়ে বাহির থেকে গরু আসার কারণে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এবার কোরবানির বাজারের জন্য ০৫ টি গরু প্রস্তুতি করেছি। বাজারদর অনুকূলে থাকলে আশা করি হাটে ভালো দাম পাবো। অন্যদিকে কোরবানির পশু বিক্রিতে খামারি নিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন কৌশল। ইতোমধ্যে খামারে এসে ক্রেতারা গরু কেনা শুরু করেছে। অনেকে আগে এসেই পশু কিনে রাখছে। যা কোরবানির আগেরদিন পর্যন্ত খামারে রাখতে পারবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধিকে বলেন, ঝিনাইগাতীতে এবার কোরবানির পশু সংকটের শঙ্কা নেই। উপজেলায় অন্তত ৫ হাজার তালিকাভুক্ত খামারির বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এক বা একাধিক কোরবানির পশু লালন-পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষ্যে পেশাদার ও মৌসুমি কসাইদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে অবহিতকরণ কার্যক্রম করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। পশুর যোগান বেশি থাকায় ঈদ বাজার খামারি ও ক্রেতা উভয়ের অনুকূলে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।