✍️ প্রতিবেদক ডেস্ক :
সারা দেশে চলছে প্রচণ্ড তাপদাহ। গরমের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে বসেছে। এই অবস্থায় শরীর সুস্থ রাখা ও হিটস্ট্রোকসহ নানা জটিলতা এড়াতে স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন এনে সহজেই এই তীব্র গরম মোকাবিলা করা সম্ভব।
পর্যাপ্ত পানি:
তাপদাহে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখা। প্রতিদিন অন্তত ২.৫-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। এছাড়া ঘরের তৈরি খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ ও ডাবের পানি দারুণ কার্যকর।
ফলমূল ও সবজি:
জলীয় উপাদানসমৃদ্ধ তরমুজ, শসা, কমলা, বাঙ্গি, আনারস, পাকা আম ইত্যাদি ফল শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শাকসবজির মধ্যে লাউ, পুঁইশাক, ঢেঁড়স ভালো উপকারী।
দই ও লেবুপানি:
টকদই শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং হজমেও সহায়ক। লেবুপানিতে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এটি ক্লান্তি দূর করে।
হালকা খাবার:
ভারি ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে, খিচুড়ি, ডাল-ভাত, চিড়া-দই, সিদ্ধ ডিম বা ফল-ভিত্তিক সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
🚫 কী এড়িয়ে চলবেন?
-
অতিরিক্ত চা ও কফি – শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে।
-
তেল-মসলা যুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার – হজমে সমস্যা ও তাপমাত্রা বাড়ায়।
-
বাইরের খোলা জুস ও পানীয় – জীবাণুর ঝুঁকি বেশি থাকে।
🧣 অতিরিক্ত পরামর্শ:
-
বাইরে গেলে ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সূর্যের সরাসরি তাপে না থাকার চেষ্টা করুন।
-
হালকা রঙের সুতি পোশাক পড়ুন। কালো বা গাঢ় রঙ তাপ শোষণ করে।
-
দুপুর ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাহিরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন – এই সময় সূর্যের তেজ সবচেয়ে বেশি।
-
ঘর ঠাণ্ডা রাখুন – জানালা বন্ধ রেখে পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “তাপদাহের সময় আমাদের জীবনযাত্রায় সামান্য সচেতনতা রাখলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।”