সাইফুল ইসলাম( কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি)
দৌলতপুরে গৃহবধূ ও পরিবারের উপর হামলার পর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, সুষ্ঠ বিচার দাবীদৌলতপুর প্রতিনিধিপূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক গৃহবধূ ও তার পরিবারকে পিটিয়ে জখম এবং দফায় দফায় হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ৭নং হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিয়াড় গ্রামের নজরুল ইসলাম ও তার পুত্রবধূ এ অভিযোগ করে। তার পরিবার প্রায় দেড় মাস ধরে ঘর ছাড়া,ও সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সুষ্ঠ বিচার পাননি বলেও অভিযোগ পরিবারটির। প্রশাসনের কাছে দ্রুত সুষ্ঠ বিচারের দাবি তাদের।
এ ঘটনায় পতিপক্ষ আনসার মন্ডলের ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৪৫), আবুল হোসের ছেলে মোঃ অন্তর (২০), মোঃ রনি (১৮) আবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ ববিতা খাতুন (৪০) শাহাবুল আলীর স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়া (৪২) ও মৃত আনসার মন্ডলের মেয়ে মোছাঃ জামেনা খাতুন (৭০) কে আসামী করে দৌলতপুর থানায় আদালতে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।ভুক্তভোগী ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ বিকেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মানিকদিয়াড় গ্রামের আসামী লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে মানিকদিয়াড় গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়ীতে যায়। এ সময় আবুল হোসেনের হুকুমে মোঃ অন্তর তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া মোঃ রতন (২৪) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার উপর স্ব-জোরে আঘাত করে। নজরুল ইসলামের পুত্রবধু লাকি আক্তার (৩০) প্রতিবেশী শিল্পী খাতুন (৪৫) দৌড়ে এসে রতনকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে আসামী মোঃ আবুল হোসেন ও তার ছেলেরা তাদেরকেও হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রোড ও হাতুড়ি দিয়ে লাকি আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার কোলে থাকা ৮ মাসের শিশু সন্তান লামিয়াকে পা ধরে ছুড়ে ফেলে দেয়। লাকি আক্তারের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন নিয়ে যায় হামলাকারীরা। যার মুল্য প্রায় ৬৮হাজার টাকা।লাকি আক্তারের শশুর নজরুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা আমাদের পরিবারকে দফায় দফায় হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। পুত্রবধূকে মেরে তার বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে দেয়। এখনও বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় আছি। প্রশাসনের কাছে দাবি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতে আনা হোক।আহত পুত্রবধু লাকি আক্তার বলেন, হামলার পরও এখনও তারা নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমার ৮ মাসের শিশু সন্তানও তাদের থেকে রেহাই পায়নি। থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। এখন চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছি। হামলাকারীদের হুমকির কারণে প্রাণভয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় একটি পক্ষের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।